ঢেঁড়শ গ্রীষ্মকালীন একটি সবজি। ঢেঁড়শের মধ্যে রয়েছে অনেক ঔষধি গুণ। এর মধ্যে রয়েছে আঁশ, ভিটামিন এ, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এটি রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়, শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধ করে। ঢেঁড়শে প্রচুর পরিমাণে প্রয়োজনীয় খনিজ, ভিটামিন এবং উচ্চ পরিমাণে ফাইবার থাকায় এটি শরীর সুস্থ রাখতে ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া রয়েছে আরো অনেক গুণ।
প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় ঢেঁড়শ রাখলে যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়:
– দৃষ্টি ভালো রাখে: ঢেঁড়শে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন, ভিটামিন এ, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, লিউটিন; যা চোখের গ্লুকোমা, চোখের ছানি প্রতিরোধে সাহায্য করে। এটি আমাদের দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে এবং দৃষ্টিশক্তি সংক্রান্ত সমস্যা থেকে রক্ষা করে।
– ঢেঁড়শের মধ্যে রয়েছে সলিউবল ফাইবার (আঁশ) পেকটিন; যা রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলকে কমাতে বিশেষভাবে কার্যকরী। এতে করে কার্ডিওভাস্কুলার সমস্যা ও হৃদপিণ্ডের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
– ঢেঁড়শ কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। ঢেঁড়শের উচ্চমাত্রার অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ক্ষতিকর ফ্রি রেডিকেলসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরি করে। এতে করে দেহে ক্যান্সারের কোষ জন্মাতে পারে না। নিয়মিত ঢেঁড়শ খাওয়ার অভ্যাস ক্যান্সার থেকে রক্ষা করে।
– ঢেঁড়শ গর্ভাবস্থায় ভ্রূণের মস্তিষ্ক তৈরিতে সাহায্য করে, মিসক্যারেজ হওয়া প্রতিরোধ করে। গর্ভধারণের নানা সমস্যা ও গর্ভকালীন সময়ে ফিটাসের নিউরাল টিউবের জটিলতা দূর করতে ঢেঁড়শ কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
– ঢেঁড়শে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার থাকায় এটি হজমশক্তি বাড়াতে ভূমিকা রাখে। এছাড়া বমি বমি ভাব এবং কোষ্টকাঠিন্য দূর করে।
– ঢেঁড়শে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম আছে। এ কারণে এটি রক্তচাপ কমাতে বেশ কার্যকরী। পটাশিয়াম এমন একটি উপাদান যা শরীরে সোডিয়ামের ভারসাম্য ঠিক রাখে। এছাড়া রক্তপ্রবাহ ঠিক রাখতেও সাহায্য করে। ফলে হৃদরোগজনিত জটিলতা কমে।
– ঢেঁড়শে ফাইবার থাকায় এটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকতে সাহায্য করে। এ কারণে এটি ওজন নিয়ন্ত্রণেও বেশ কার্যকরী।
– ঢেঁড়শে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি রেডিকেলের বিরুদ্ধে কাজ করে। এছাড়া এতে থাকা ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
– ঢেঁড়শে ভিটামিন এ এবং অ্রান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে চোখের মাসকুলার ডিজেনারেশনজনিত জটিলতা কমায়।
– ঢেঁড়শের খোসা এবং বীজ শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা কমায়। এ কারণে এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য দারুণ উপকারী।
– ঢেঁড়শে অ্যান্টি-অ্যাডহেনসিভ উপাদান থাকায় এটি গ্যাষ্ট্রিক সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।