২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদ্মা নদীর পানি বেড়ে মধ্যাঞ্চলের টাঙ্গাইল, মুন্সিগঞ্জ ও শরীয়তপুরে বন্যা দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। একই সঙ্গে সিলেট ও রংপুর অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
রোববার (১৯ জুন) দেশের মোট নয়টি নদীর পানি ১৮টি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে বলে জানিয়েছে পাউবো। এছাড়াও বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, বর্তমানে দেশের নয়টি জেলা বন্যাকবলিত।
দেশের সব প্রধান নদ-নদীর পানি বাড়ছে জানিয়ে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, আবহাওয়া সংস্থাগুলোর গাণিতিক মডেলভিত্তিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন ভারতের আসাম, মেঘালয় ও হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গে মাঝারি থেকে ভারি এবং কোথাও কোথাও অতিভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, গঙ্গা-পদ্মা, সুরমা, কুশিয়ারা, তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমারসহ সব প্রধান নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে টাঙ্গাইল, মুন্সিগঞ্জ ও শরীয়তপুর জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়াও এ সময়ের মধ্যে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। একই সঙ্গে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ ও জামালপুর জেলার বন্যা পরিস্থিতিরও অবনতি হতে পারে।
রোববার ব্রহ্মপুত্র নদের পানি নুনখাওয়া, হাতিয়া ও চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। এছাড়া বাহাদুরাবাদ, সারিয়াকান্দি, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে যমুনা নদীর পানি।
এদিকে, সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট, সিলেট ও সুনামগঞ্জ পয়েন্টে এবং কুশিয়ারা নদীর পানি অমলশীদ ও শ্যাওলা পয়েন্টে বিপৎসীমা পেরিয়েছে।
অন্যদিকে, দুধকুমার নদীর পানি পাটেশ্বরী, ধরলার পানি কুড়িগ্রাম, তিস্তার পানি ডালিয়া, ঘাঘট নদীর পানি গাইবান্ধা ও সোমেশ্বরী নদীর পানি কমলাকান্দা পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।