দেশে গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা চলতি বছরে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৮৬৯ জনে।
এ ছাড়া একই সময়ে নতুন করে ৩ হাজার ৬৭৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৯১ হাজার ৮০৬ জনে। শনিবার (২৭ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৯৭১ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন পাঁচ লাখ ৩৩ হাজার ৯২২ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২২৪টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১২০টি, জিন-এক্সপার্ট ৩১টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৭৩টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ২৪ হাজার ৭২৬টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৪ হাজার ৬৬৪টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৫ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৪টি।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৯৬ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ২২ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৫০ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে নাসিমা সুলতানা জানান, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩৯ জনের মধ্যে ২৪ জন পুরুষ, ১৫ জন নারী। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে পাঁচ জন। রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে দুই জন করে চার জন। এছাড়া সিলেট ও রংপুর বিভাগে এক জন করে দুই জন রয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ৩৯ জন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ১৯৩ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৬৪ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন এক লাখ তিন হাজার ৪৬২ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৯২ হাজার ৭৪৪ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১০ হাজার ৭১৮ জন।
২৬ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান ৩৩ জন। ২৫ মার্চ মারা যান ৩৪ জন। যা ছিল এ বছরে এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এর আগে ২৪ মার্চ ২৫ জন, ২৩ মার্চ ১৮ জন ও ২২ মার্চ ৩০ জন মারা যান।