গত ২৪ ঘন্টায় যুক্তরাষ্ট্রে ১,৫০৮ জন মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। এ পর্যন্ত দেশটিতেে বিশেষ এই ভাইরাসে ২ লাখ ৯০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন আরও ২ লাখ মানুষ।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটার নিয়মিত পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১ লাখ ৯৮ হাজার ৭৯২ জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এতে করে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ১ কোটি ৫৩ লাখ ৬৯ হাজার ৪৬ জনে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে প্রাণ হারিয়েছেন ১ হাজার ৫০৮ জন। এ নিয়ে প্রাণহানি বেড়ে ২ লাখ ৯০ হাজার ৪৪৩ জনে ঠেকেছে।
অপরদিকে, সংক্রমণের তুলনায় কম হলেও গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ১ লাখ ২৫ হাজারের বেশি ভুক্তভোগী। এতে করে সুস্থতার সংখ্যা ৮৯ লাখ ৮২ হাজার ২৪৬ জনে পৌঁছেছে।
চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি শিকাগোর এক বাসিন্দার মধ্যে প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এর পর থেকে ক্রমান্বয়ে ভয়ানক হতে থাকে পরিস্থিতি।
এর মধ্যে সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হার দীর্ঘ হচ্ছে টেক্সাসে। এ শহরে আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ লাখ ৬৭ হাজারের কাছাকাছি। যেখানে প্রাণহানি ঘটেছে ২৩ হাজার ৩৩৫ জনের। ক্যালিফোর্নিয়ায় সংক্রমিতের সংখ্যা ১৩ লাখ ৯৬ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২০ হাজার ৪৯ জনের। ফ্লোরিডায় করোনার শিকার ১০ লাখ ৬৬ হাজার মানুষ। ইতোমধ্যে সেখানে ১৯ হাজার ২৮২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
ইলিনয়েসে এখন পর্যন্ত করোনার ভুক্তভোগী ৭ লাখ ৯৬ হাজার। এর মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ১৪ হাজার ২১৬ জন। প্রাণহানিতে শীর্ষ শহর নিউইয়র্কে আক্রান্ত ৭ লাখ ৫২ হাজারের বেশি। এর মধ্যে না ফেরার দেশে ৩৫ হাজার ৯৭ জন ভুক্তভোগী। জর্জিজায় করোনা রোগীর সংখ্যা ৫ লাখ ৭ হাজার প্রায়। এর মধ্যে প্রাণ ঝরেছে ৯ হাজার ৮৫১ জনের। নিউ জার্সিতে করোনার শিকার ৩ লাখ ৭১ হাজারের বেশি মানুষ। এর মধ্যে প্রাণহানি ঘটেছে ১৭ হাজার ৪৭১ জনের।
এ ছাড়া উত্তর ক্যারোলিনা, টেনেসিস, উইসকনসিন, অ্যারিজোন, ওহিও, পেনসিলভেনিয়া, মিশিগানের মতো শহরগুলোয় আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ছাড়িয়েছে।