দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় মোট মারা গেছেন ৭ হাজার ৩২৯ জন।
একই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ১ হাজার ৩১৮ জন। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ লাখ ৩ হাজার ৫০১ জন।
মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ২ হাজার ২৩৫ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯২৯ জন হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৩টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ১৯টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ২৯টি র্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবে অর্থাৎ সর্বমোট ১৬১টি ল্যাবে ১৫ হাজার ১৪৫ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৩১ লাখ ৬ হাজার ৪৯৪ টি নমুনা।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৪ লাখ ৭১ হাজার ৬৬৯টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৮২৫ টি।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৭০ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ২১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ আর নারী ৬ জন। তাদের মধ্যে ১৬ জন হাসপাতালে ও ১ জন বাড়িতে মারা গেছেন। ১১ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি, ৪ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এবং ২ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ছিল। মৃতদের মধ্যে ৯ জন ঢাকা বিভাগের, ৪ জন চট্টগ্রাম বিভাগের এবং ১ জন করে মোট ৪ জন রাজশাহী, খুলনা, সিলেট ও রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৭ হাজার ৩২৯ জনের মধ্যে ৫ হাজার ৫৮৬ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ৭৪৩ জন নারী। তাদের মধ্যে ৩ হাজার ৯৮০ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও ১ হাজার ৮৭০ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৮৬১ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩৬৯ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৫৯ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৫৬ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৪ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।
এর মধ্যে ৪ হাজার ৫ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ৩৬৩ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪৩০ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫১৮ জন খুলনা বিভাগের, ২৩৫ জন বরিশাল বিভাগের, ২৯০ জন সিলেট বিভাগের, ৩২৯ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৫৯ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।