শনিবার, ২৩শে নভেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

UCB Bank

গরমের মৌসুম-পানিশূন্যতা রোধে যা করবেন

প্রকাশঃ

গরমের মৌসুম চলে এলেই ছোট-বড় সবার মধ্যে দেখা দেয় পানিশূন্যতা। এ সময় ঘাম হয়ে শরীর থেকে পানি ও খনিজ লবণ বের হয় বলে পানিশূন্যতা ও খাবারে অরুচি দেখা দেয়। তাই স্বাভাবিক সময়ে আমরা যে ন্যূনতম দুই লিটার পানি পান করে থাকি, এ সময় কম করে হলেও তার পরিমাণ হতে হবে সাড়ে তিন লিটার। আবার স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত পানি পান করা যাবে না। সে ক্ষেত্রে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। তাই শুধু পানি পান না করে পানি-জাতীয় খাবার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে।

পানিশূন্যতা শুধু যে গরমের জন্যই হয়ে থাকে, তা নয়। অনেক সময় ডায়রিয়া, বমি, জ্বর ইত্যাদি কারণেও দেখা দিতে পারে। আবার অতিরিক্ত শরীরচর্চার কারণেও পানিশূন্যতা দেখা দেয়।

খাদ্যতালিকায় যা রাখবেন
বিভিন্ন জাতের ছোট-বড় মাছ, ডিম, মুরগির মাংস খাদ্যতালিকায় থাকবে। কিন্তু গরু ও খাসির মাংস যতটা সম্ভব বাদ দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রাণিজ আমিষের পরিবর্তে উদ্ভিজ্জ আমিষ খাওয়া যেতে পারে। যেমন বিভিন্ন জাতের ডাল, সয়া বড়ি ইত্যাদি। সতেজ ও রঙিন শাকসবজি, বিশেষ করে তেতো শাকসবজি, যেমন করলা, মেথিশাক, পাটশাক ও শজনে ইত্যাদি নিয়মিত খেতে হবে। এ ছাড়া লাউ, ঝিঙে, ধুন্দুল, শসা, পেঁপে, কাঁচকলা, কুমড়ো, টমেটো খেতে হবে। এগুলোয় আছে ভিটামিন এ, সি, পটাশিয়াম, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, আঁশ, মিনারেল, ফাইটোকেমিক্যাল-জাতীয় পুষ্টি, যা নিয়মিত খেলে পানির ঘাটতি দূর করার পাশাপাশি ক্যানসার, হৃদ্‌রোগসহ অন্যান্য রোগের ঝুঁকি কমায়। এ খাবারগুলো শরীরের পিএইচ মাত্রা, সোডিয়াম ও পটাশিয়াম লেভেল ঠিক রাখে। এ সময় তরমুজ, বাঙ্গি, বেল, লেবু, মালটা, কমলা, কামরাঙা, লিচু, আনারস, পানিফল, আঙুর, বেদানা ইত্যাদি ফল খেতে হবে বেশি করে।

যা করবেন ও যা বাদ দেবেন

গরমের দিনে রান্না করা খাবারে অবশ্যই অতিরিক্ত মসলা, ঝাল ও তেল বাদ দিতে হবে। ঝোল-জাতীয় তরকারি খেতে হবে, ভাজাপোড়া, পোলাও, খিচুড়ি, কাচ্চি, বিরিয়ানি, ফাস্ট ফুড এবং ট্রান্স ফ্যাট-জাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে। কারণ এ-জাতীয় খাবার পানিশূন্যতা বাড়িয়ে দেয় এবং খাবার হজমে বিঘ্ন ঘটায়।
গরমে বিভিন্ন ধরনের শরবত, তোকমা ও ইসবগুলের ভুসি রাখতে হবে খাদ্যতালিকায়। মিল্কশেক ও টক দই দিয়ে লাচ্ছি, ঘোল, মাঠা, বোরহানি, আখের রস ইত্যাদি খেতে পারেন।
অনেক গরমে কম-বেশি সবারই মাথাব্যথা করে। এ জন্য চা-কফি প্রচুর পরিমাণে খাওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে চা-কফি পরিমাণে কম খেতে হবে। কেননা চা-কফি পানিশূন্যতা বাড়িয়ে দেয়।

শেয়ার করুনঃ

উপরের পোস্টটি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কি?

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

এই মাত্র প্রকাশিত

এই বিভাগের আরও সংবাদ