চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) দেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) এসেছে ৭৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার। এর মধ্যে নিট বিদেশি বিনিয়োগ ৪২ কোটি ৮০ লাখ ডলার। অর্থাৎ গত অর্থবছরের চেয়ে এফডিআই বেড়েছে ৭.১২ শতাংশ ও নিট বেড়েছে ৭ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ৪৫০ কোটি ডলার বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে শেষ হয়েছে গত অর্থবছর। যা আগের (২০১৭-১৮) অর্থবছরের তুলনায় ৩৭ শতাংশ বেশি। ভবিষ্যতে বিদেশি বিনিয়োগ আরও বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের করা হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে ইপিজেডসহ রফতানি খাতে বাংলাদেশ আয় করেছে ৬৬৪ কোটি ৭০ লাখ ডলার। এর বিপরীতে আমদানিবাবদ ব্যয় করেছে ৮৬২ কোটি ২০ লাখ ডলার। সেই হিসাবে আগস্ট শেষে দেশে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়ায় ১৯৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (বিনিময় হার ৮৪ টাকা ৭০ পয়সা ধরে) দাঁড়ায় প্রায় ১৬ হাজার ৭২৮ কোটি ২৫ লাখ টাকা। ঘাটতির এ অঙ্ক ২০১৮-১৯ অর্থবছরের একই সময় ছিল ২১০ কোটি ডলার। অর্থাৎ গত অর্থবছরের একই সময়ে তুলনায় এবার ঘাটতি কিছুটা কমেছে।
এদিকে আলোচিত সময়ে সেবাখাতে বেতনভাতা-বাবদ বিদেশিদের পরিশোধ করা হয়েছে ১৫৬ কোটি ২০ লাখ ডলার। আর বাংলাদেশ এ খাতে আয় করেছে ১০৪ কোটি ২০ লাখ ডলার। এ হিসাবে সেবায় বাণিজ্যে দেশে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৫১ কোটি ডলার, যা গত অর্থবছরের (২০১৮-১৯) একই সময়ে ছিল (ঘাটতি) ৩৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার। দুই মাসে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স এসেছে ৩০৪ কোটি ২০ লাখ ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২৭২ কোটি ৯০ লাখ ডলার। রেমিট্যান্সে ১১.৪৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।