যাত্রী সংকটের কারণে বুধবার দ্বিতীয় দিনেও অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। সূত্রমতে শুধু যাত্রী সংকট নয়, বর্তমানে বিমানে তীব্র উড়োজাহাজ সংকটও রয়েছে। ৩টি ড্যাস-৮ উড়োজাহাজের মধ্যে একটির লিজ মেয়াদ ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। কাজেই ওই উড়োজাহাজ দিয়ে এখন আর ফ্লাইট চালাতে পারছে না বিমান। একটি উড়োজাহাজ অচল হয়ে পড়ে আছে। তাই অভ্যন্তরীণ রুট চালানোর জন্য এখন বিমানের হাতে আছে একমাত্র ড্যাস-৮ কিউ ৪০০।
সূত্রমতে শুধু ৫ ও ৬ জুনের ফ্লাইটও বাতিল করার চিন্তাভাবনা করছে বিমানের ম্যানেজমেন্ট। এই অবস্থায় রাষ্ট্রায়ত্ত এই সংস্থার ভবিষ্যৎ নিয়ে বড় ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। বিমানের একাধিক কর্মকর্তা জানান, বিমানের বর্তমান এই ক্রাইসিস অবস্থা উত্তরণের মতো ম্যানেজমেন্টে উচ্চ পর্যায়ে দক্ষ ও অভিজ্ঞ কোনো কর্মকর্তা নেই। যারা আছেন তাদের অধিকাংশই মন্ত্রণালয় থেকে বিমানে প্রেষণে নিয়োগপ্রাপ্ত। তাদের কারোই বিমান পরিচালনায় কোনো অভিজ্ঞতা নেই।
বিমানের উপমহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার বলেন, ‘যাত্রী সংকটের কারণে বুধবারে সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছিল। একই কারণে আজকের সব ফ্লাইটও বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যাত্রী সংকটের কারণে পরপর দুই দিন বিমান সব ফ্লাইট বাতিল করলেও অন্য এয়ারলাইন্সগুলো ফ্লাইট পরিচালনা করে যাচ্ছে। তাহলে বিমান কেন পারছে না এমন প্রশ্নে তাহেরা খন্দকার বলেন, ‘যাত্রী সংকটের মধ্যে অন্য এয়ারলাইন্স পাচ্ছে, কারণ ওদের ভাড়া একটু কম।’ বুধবার বিমান বাংলাদেশের সৈয়দপুর রুটে দুটি, সিলেট রুটে একটি এবং চট্টগ্রাম রুটে একটি ফ্লাইট পরিচালনা করার কথা ছিল।