শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চার শর্ত মেনে আজ (১ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে ইংরেজি মাধ্যমের ‘ও’ এবং ‘এ’ লেভেল পরীক্ষা। আগামী ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে এ পরীক্ষা। এতে ৫ হাজার ২০০ শিক্ষার্থী অংশ নেয়ার কথা রয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেয়া শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে-
– স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের স্বাস্থ্যবিধি ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে।
– সারা দেশের ৩৫টি ভেন্যুতে প্রতিদিন এক হাজার ৮০০ পরীক্ষার্থীর বেশি জনের পরীক্ষা নেয়া যাবে না। পরীক্ষার হলে প্রতিজন শিক্ষার্থীর মাঝে দূরত্ব থাকতে হবে ৬ ফুট।
– পরিস্থিতি বিবেচনায় যেকোনো সময় সরকার জনস্বার্থে পরীক্ষা নেয়ার অনুমতি বাতিল করতে পারবে।
– পরীক্ষার সময় কোনো শিক্ষার্থী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে তার দায়দায়িত্ব নিতে হবে ব্রিটিশ কাউন্সিলকেই।
এর আগে পরীক্ষার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে রিট করা হয়েছিল। অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান লিংকন আদালতে রিটটি করেন। পরে সেটি খারিজ করে দিয়েছেন উচ্চ আদালত। আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে রিট আবেদনটি খারিজ করা হয়েছে। এর ফলে আজ সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়েছে এই পরীক্ষা।
এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর এক বিবৃতিতে ব্রিটিশ কাউন্সিল জানিয়েছে, এ বছরের অক্টোবর-নভেম্বর (২০২০) সেশনের ইন্টারন্যাশনাল জিসিএসই, আইজিসিএসই, ‘ও’ লেভেল এবং ‘এ’ লেভেল পর্যায়ের পরীক্ষা নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দেশে প্রায় ৫ হাজার ২০০ শিক্ষার্থী আছে, যারা অক্টোবর-নভেম্বরের পরীক্ষার জন্য জুলাই-আগস্টে রেজিস্ট্রেশন করেছে। সময় মতো এই পরীক্ষা দেয়া তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য বাধ্যতামূলক ফেস মাস্ক পরিধান, পরীক্ষার্থীদের শারীরিক দূরত্ব, পরীক্ষাকেন্দ্র নিয়মিত পরিষ্কার, স্যানিটাইজেশনসহ ব্রিটিশ কাউন্সিলের সুরক্ষা প্রোটোকলগুলো ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, নারায়ণগঞ্জ ও খুলনার সব পরীক্ষা কেন্দ্রে মানা হবে।
এর আগে করোনার কারণে বিশ্বব্যাপী মে-জুন সেশনের পরীক্ষা না নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ব্রিটিশ কাউন্সিল।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে বলা হয়, ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের পরিচালনায় ‘ও’ লেভেল এবং ‘এ’ লেভেল পরীক্ষা চার শর্তে আগামী ১ অক্টোবর থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত নেয়ার অনুমতি দিয়ে মন্ত্রণালয় সম্মতি জানিয়েছে।