রবিবার, ২৪শে নভেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

UCB Bank

শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড এর ২০ বছর পূর্তি উদ্যাপন

প্রকাশঃ

শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড ২০০১ সালের ১০ মে কার্যক্রম শুরু করে সম্পূর্ণ ইসলামী শরীয়াহ্ মোতাবেক ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে এবং সফলভাবে ২০ বছর সমাপ্ত করেছে। ব্যাংকের ২০ বছর পূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে ১১ মে ২০২১ইং তারিখে করপোরেট প্রধান কার্যালয়সহ সকল শাখায় ও উপ-শাখায় পবিত্র কোরআন খতম এবং নভেল করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ডিজিটাল প্লাটফর্মে দরূদ ও দো’আ মাহ্ফিল এর আয়োজন করা হয়। উক্ত দো’আ মাহ্ফিলে দেশ ও জাতির বৃহৎ কল্যাণে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান জনাব মোঃ সানাউল্লাহ সাহিদ এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও জনাব এম. শহীদুল ইসলাম ডিজিটাল প্লাটফর্মে আয়োজিত উক্ত দো’আ মাহ্ফিলে অংশগ্রহণ করে ব্যাংকের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনায় দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদের ভাইস-চেয়ারম্যান জনাব মোঃ হারুন মিয়া, পরিচালকবৃন্দ জনাব আব্দুল হালিম, জনাব আক্কাচ উদ্দিন মোল্লা, ইঞ্জিনিয়ার মোঃ তৌহিদুর রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক জনাব কে এ এম মাজেদুর রহমান ও জনাব নাসির উদ্দিন আহমেদ, ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব আব্দুল আজিজ ও জনাব এস. এম. মঈনুদ্দীন চৌধুরী, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালকবৃন্দ জনাব মোঃ শাহ্জাহান সিরাজ, জনাব এম. আখতার হোসেন ও মিঞা কামরুল হাসান চৌধুরী, পাবলিক রিলেশন্স ডিভিশনের প্রধান ও ইভিপি জনাব মোঃ সামছুদ্দোহা এবং কোম্পানি সচিব জনাব মোঃ আবুল বাশার-সহ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রধান ও কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে দো’আ ও মোনাজাত পরিচালনা করেন ব্যাংকের শরীয়াহ্ বিভাগের প্রধান ও এভিপি মাওলানা মোঃ ফরিদ উদ্দিন।

শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড ২০০১ সালের ১০ মে থেকে ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করে এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এ পর্যন্ত ১৩২টি শাখা, ২টি উপ-শাখা, ২টি প্রাইওরিটি ব্যাংকিং ইউনিট, অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট, উল্লে¬খযোগ্য সংখ্যক এটিএম বুথ এবং দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্থাপিত এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এর মাধ্যমে গ্রাহকদেরকে আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে উন্নত ব্যাংকিং সেবা প্রদান করে আসছে। ৩০ এপ্রিল ২০২১ইং তারিখ পর্যন্ত এ ব্যাংকের মোট আমানত ২১,৯৯৪.০০ (একুশ হাজার নয়শত চৌরানব্বই) কোটি টাকা ও মোট বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ১৯,৫৪০.০০ (উনিশ হাজার পাঁচশত চল্লিশ) কোটি টাকা। ০১ জানুয়ারি ২০২১ থেকে ৩০ এপ্রিল ২০২১ইং তারিখ পর্যন্ত মোট আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যের মোট পরিমাণ প্রায় ১৩,০৪৪.০০ (তের হাজার চুয়াল্লিশ) কোটি টাকা। বর্তমানে এই ব্যাংকের গ্রাহক সংখ্যা ৯,৯৯,০০০ জন। ঊসবৎমরহম ঈৎবফরঃ জধঃরহম খরসরঃবফ (ঊঈজখ) এর রেটিং এ শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের ক্রেডিট রেটিং খড়হম ঞবৎস-এ অঅ এবং ঝযড়ৎঃ ঞবৎস-এ ঝঞ-২। দেশের শীর্ষস্থানীয় আর্থিকভাবে শক্তিশালী ব্যাংকগুলোর মধ্যে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক অন্যতম। এই স্বল্প সময়ের মধ্যেই ব্যাংকটির আর্থিক ভিত অত্যন্ত সুদৃঢ় অবস্থানে উপনীত হয়েছে। দক্ষ জনবল, বিজ্ঞ পর্ষদের দূরদর্শিতা এবং সময়োপযোগী নীতিমালা প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়নের জন্য ব্যাংকের গ্রাহক সংখ্যা এবং ব্যবসার পরিধি ক্রমে বিস্তার লাভ করছে।

রেগুলেটরী কমপ্লায়েন্স, টেকসই উন্নয়ন এবং উন্নতর প্রতিযোগিতামূলক সেবার কারণে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের খ্যাতি ও সুনাম দিন দিন বিস্তৃত হচ্ছে। বিগত বছরে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড একাধিক দেশীয় ও আন্তর্জাতিক স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান হতে কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ একাধিক পুরস্কার অর্জন করেছে। যুক্তরাজ্যের স্বনামধন্য ইসলামিক ফাইনান্সসিয়াল ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস প্রতিষ্ঠান ক্যামব্রিজ আইএফএ শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক-কে “থ্রিজি এক্সিলেন্স ইন সাসটেইনেবল প্রাকটিস অ্যাওয়ার্ড-২০২০” এবং “থ্রিজি গ্রীণ চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ড” এ দুটি ক্যাটাগরীতে পুরস্কার প্রদান করে। এছাড়া, ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস বাংলাদেশ (আইসিএবি), সাউথ এশিয়ান ফেডারেশন অব অ্যাকাউন্ট্যান্টস (সাফা), ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড সেক্রেটারিজ অব বাংলাদেশ (আইসিএসবি) ও ইনস্টিটিউট অব কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক-কে পুরস্কার প্রদান করেছে যা ব্যাংকের বহু আর্থিক রিপোর্টিং এর পরিচায়ক।

শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক শুধু মুনাফা অর্জন এর জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়নি বরং আন্তরিক গ্রাহক সেবাই ব্যাংকের কাছে মূখ্য। করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতার (সিএসআর) অংশ হিসেবে ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশন। ব্যাংক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সমাজের দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান, বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রবণ এলাকায় খাদ্য ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ, দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান-সহ সবসময় সমাজের পশ্চাৎপদ মানুষের প্রতি সাহায্যের হাত সম্প্রসারিত করেছে এবং তা অব্যাহত রয়েছে। তাছাড়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ^ব্যাপী নভেল করোনা ভাইরাস এর প্রাদুর্ভাবকালীন সময়ে সমাজের অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে আর্থিক সহায়তা প্রদানসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে যা এখনো অব্যাহত আছে।

শেয়ার করুনঃ

উপরের পোস্টটি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কি?

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

এই মাত্র প্রকাশিত

এই বিভাগের আরও সংবাদ