করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কমে গেছে শ্রমজীবীদের মানুষের আয় রোজগার। অন্যদিকে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম। ফলে মার্চ মাসের তুলনায় এপ্রিল মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়েছে।
তথ্যমতে, মার্চে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫.৪৭ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি বেড়ে এপ্রিলে হয়েছে ৫.৫৬ শতাংশ। মাসের ব্যবধানে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ০.৯ শতাংশ।
সম্প্রতি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এপ্রিলের মূল্যস্ফীতির এই হিসাব তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে। বিবিএসের কর্মকর্তারা জানান, চিড়া, মুড়ি, তরল দুধ, সবজির মধ্যে বেগুন, চালকুমড়া, টমেটো, বরবটি, শসা, গাজর, চিচিঙ্গা, ঝিঙ্গা, কাঁচকলা, লেবু, মসলার মধ্যে পেঁয়াজ ছাড়া সবকিছুর দাম বেড়েছে। ফলের মধ্যে তরমুজ, কলা, আপেলের দাম বাড়ায় মার্চের তুলনায় এপ্রিলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়েছে।
অন্যদিকে মুরগী, ডিম, কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ, পুঁইশাক, পালংশাকের দাম মার্চের তুলনায় এপ্রিলে কমেছে। আর চাল, মিষ্টি কুমড়া, পটল, লালশাক, ডাঁটাশাক, চিনি, লবণ, নুডুলস, সিগারেট, বিড়ি এবং মাছের মধ্যে রুই, চিংড়ি, বোয়াল, শিং, মাগুর ইত্যাদির দাম স্থিতিশীল ছিল।
বিবিএস প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, এপ্রিল মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে (মাসওয়ারি) দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫.৫৬ শতাংশ। আগের মাসে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫.৪৭ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে ছিল ৫.৩২ শতাংশ। জানুয়ারিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫.০২ শতাংশ। গতবছরের ডিসেম্বরে ছিল ৫.২৯ শতাংশ। সাত বছর পর ২০২০ সালের অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের ঘর অতিক্রম করে ৬.০২ শতাংশে উঠেছিল। নভেম্বরে অবশ্য সামান্য কমে তা ৫.৯৭ শতাংশ হয়।
বিবিএসের তথ্য বলছে, এপ্রিলে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত দুই খাতেই মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। এই মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫.৫৭ শতাংশ। আর খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫.৫৫ শতাংশ। মার্চে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৫.৫১ শতাংশ। আর খাদ্য বহির্ভূত খাতে হয়েছিল ৫.৩৯ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৫. ৪২ শতাংশ, জানুয়ারিতে যা ছিল ৫.২৩ শতাংশ।
অন্যদিকে খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি জানুয়ারিতে ছিল ৪.৬৯ শতাংশ, ফেব্রুয়ারিতে ছিল ৫.১৭ শতাংশ। এপ্রিলে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে গ্রামাঞ্চলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫.৬৬ শতাংশ। মার্চে এই হার ছিল ৫.৫৫ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে ছিল ৫.৩৩ শতাংশ।
এপ্রিল মাসে শহরাঞ্চলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫.৩৯ শতাংশ। মার্চে হয়েছিল ৫.৩১ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে এই হার ছিল ৫.৩০ ভাগ।
