বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে চারটি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। রোববার (৭ আগস্ট) রাজধানীর একটি হোটেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও ঢাকা সফররত চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-এর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সমঝোতা স্মারকগুলো সই হয়।
দুই মন্ত্রীর বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের বলেন, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে চারটি চুক্তি ও সমঝোতা সই হয়েছে।
সমঝোতা স্মারকগুলো হচ্ছে- পিরোজপুরে অষ্টম বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ সেতুর হস্তান্তর সনদ, দুর্যোগ মোকাবিলা সহায়তায় পাঁচ বছর মেয়াদী সমঝোতা স্মারকের নবায়ন, ২০২২-২৭ মেয়াদে সংস্কৃতিক সহযোগিতা সমঝোতা স্মারকের নবায়ন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও চীনের ফার্স্ট ইনস্টিটিউট অব ওশেনোগ্রাফির মধ্যে মেরিন সায়েন্স নিয়ে সমঝোতা স্মারক।
আজ রোবাবর (৭ আগস্ট) সকাল ৭টা ৫০ মিনিটের পর দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেন ড. মোমেন ও ঢাকা সফররত চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। দেড়ঘন্টা অনুষ্ঠিত বৈঠকে এক ঘণ্টা চলে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। বাকি আধঘণ্টায় সমঝোতা স্মারক সইসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। বর্তমানে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে রয়েছেন।
দুদিনের সফরে শনিবার (৬ আগস্ট) বিকেল ৫টায় ঢাকায় আসেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। বিমানবন্দর থেকে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী সফরের প্রথম কর্মসূচিতে রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
রোববার (৭ আগস্ট) দুপুরের দিকে ঢাকা থেকে মঙ্গোলিয়া যাওয়ার কথা রয়েছে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর। সবশেষ, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০১৭ সালের নভেম্বরে ঢাকা সফর করেছিলেন।