করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক ওষুধ প্রতিষ্ঠান ফাইজার উদ্ভাবিত টিকাকে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের পক্ষ থেকে গত ২৪ মে স্টিকার ইমারজেন্সি ইউজ অথরাইজেশনের জন্য আবেদন করা হয়। আবেদনের প্রেক্ষিতে অধিদপ্তরের ভ্যাকসিন দেওয়ার (ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে সিএমসি পার্ট রেগুলারিটি স্ট্যাটাস) পর্যবেক্ষণ করে ২৫ মে পাবলিক হেলথ ইমার্জেন্সির ক্ষেত্রে ওষুধ ইনভেস্টিগেশনাল ভ্যাকসিন এবং মেডিকেল ডিভাইস মূল্য নির্ধারণ কমিটির মতামতের জন্য উপস্থাপন করা হয়। কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ২৭ মে টিকার অনুমোদন প্রদান করে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র জানা গেছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগী কোভ্যাক্স গ্রুপ থেকে ফাইজারের টিকা দেশে আসছে। কোভ্যাক্স থেকে প্রথম ধাপে বিনা মূল্যে দেশের ১১ শতাংশ মানুষের জন্য টিকা আসার কথা রয়েছে। পরে সরকার চাইলে ওই গ্রুপ থেকে কিনে আরো টিকা আনতে পারবে।
কোভ্যাক্স-এর থেকে প্রথম চালান হিসেবে ফাইজারের এক লাখ ৬২০ ডোজ টিকা এবং এর সঙ্গে আনুষঙ্গিক উপকরণ আগামী সপ্তাহে দেশে পৌঁছবে। তবে এই টিকা কিভাবে দেওয়া হবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
এখন পর্যন্ত দেশে এসেছে অক্সফোর্ডের মোট এক কোটি তিন লাখ ডোজ, চীনের সিনোফার্মের পাঁচ লাখ ডোজ এবং এরপরই ফাইজারের আসছে এক লাখ ৬২০ ডোজ। এ ছাড়া জুনের মধ্যেই চীনের আরো ছয় লাখ ডোজসহ একাধিক মাধ্যমে আরো কয়েক লাখ টিকা আসার সম্ভাবনা রয়েছে, যেখানে অক্সফোর্ডের টিকাও থাকবে বলে ওই সূত্র জানায়।