প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে দেশের সীমান্তবর্তী আরও ৭ জেলায় লকডাউনের সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিশেষজ্ঞ কমিটি।
রোববার (৩০ মে) দুপুরে কমিটির সদস্য ও জনস্বাস্থ্যবিদ ড. আবু জামিল ফয়সাল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শনিবার (২৯) এক বৈঠকে চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ নওগাঁ, নাটোর, সাতক্ষীরা, যশোর, রাজশাহী, কুষ্টিয়া ও খুলনা জেলায় লকডাউনের সুপারিশ করেছে। রোববার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে।
ড. আবু জামিল ফয়সাল বলেন, ইতিমধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জে লকডাউন চলছে। নতুন করে আরও সাতটি জেলাকে যুক্ত করা হয়েছে। তবে কক্সবাজার ফেনী ও নোয়াখালী, এই তিনটি সীমান্তবর্তী জেলার ব্যাপারে সুপারিশ করা হয়নি। এই জেলাগুলোতে সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে কমিটি। সংক্রমণ পর্যবেক্ষণ করে পর্যায়ক্রমে এগুলোতেও লকডাউনের চিন্তা করা যেতে পারে।
‘সারাদেশে লকডাউন’- এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, সারাদেশে লকডাউন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। যেহেতু এখন সীমান্তেই সংক্রমণ বাড়ছে, সেহেতু শুধু সীমান্তবর্তী এলাকায় অঞ্চলভিত্তিক কঠোর লকডাউনের মাধ্যমেই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
এর আগে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার খুরশীদ আলম জানিয়েছিলেন, ইতিমধ্যেই চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা লকডাউন ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আরও তিনটি জেলা আমাদের পর্যবেক্ষণে রয়েছে। সংক্রমণ বাড়লে সেগুলোতেও লকডাউনের চিন্তা রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা যখন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা লকডাউন ঘোষণা করি, তখন ওই জেলায় সংক্রমণ ছিলো ৪০ এর বেশি। আর অন্য জেলাগুলোতে এখনও সংক্রমণ অনেক নিচে। তবে যদি বাড়তে থাকে এলাকাভিত্তিক লকডাউন দেওয়া হবে।
চলতি বছর করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ঢিলেঢালা লকডাউন হলেও সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ায় ১৪ এপ্রিল থেকে ‘কঠোর লকডাউন’ ঘোষণা করে সরকার। পরে সিটি করপোরেশন এলাকায় গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়। তবে দূরপাল্লার বাস, লঞ্চ এবং ট্রেন চলাচল ঈদ পর্যন্ত বন্ধ ছিল। পরে ২৪ মে থেকে গণপরিবহন চলাচল শুরু হয়েছে।