টানা চারদিন বন্ধের পর সোমবার (৫ জুলাই) সকাল থেকেই রাজধানীর ব্যাংকগুলোতে ছিল গ্রাহকের ভিড়। নগদ লেনদেনের জন্য অনেকেই বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ভিড় করেন। এদিকে, টানা ছুটির পর চাঙ্গা ছিল দেশের পুঁজিবাজারও। সূচক ও লেনদেন চাঙ্গা হওয়ায় নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশনা অমান্য করে ব্রোকারেজ হাউসে আসেন বিনিয়োগকারীরা।
ব্যাংক হলি-ডে, সাপ্তাহিক ছুটি আর চলমান কঠোর বিধিনিষেধের ছুটি শেষে রবিবার সকাল থেকেই গ্রাহকের সরব উপস্থিতি মতিঝিলের ব্যাংক পাড়ায়। টাকা উত্তোলন, সঞ্চয়পত্রের মুনাফা গ্রহণসহ নানা কাজে ব্যাংক শাখায় গ্রাহক।
সরকারি ব্যাংকের প্রবেশদারে জীবাণুনাশক বা তাপমাপার কোনো ব্যবস্থা নজরে না এলেও বেসরকারি ব্যাংকে তা দেখা মিললো। তবে বেশিরভাগ গ্রাহকের ছিল মাস্ক।
এদিকে, পুঁজিবাজার খোলা থাকলেও ব্রোকারেজ হাউজে বিনিয়োগকারিদের উপস্থিতিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বিএসইসি। তবে চাঙ্গা বাজারে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই এসেছেন বিনিয়োগকারিরা।
কঠোর বিধিনিষেধে সোম থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সীমিত পরিসরে চলবে ব্যাংক ও পুঁজিবাজারের লেনদেন। শুক্র ও শনির সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে এসময় রবিবারও থাকবে ছুটি।
গত ৩০ জুন মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে ১ থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত কঠোর বিধি-নিষেধ দেয়ার পর ওইদিনই বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসি এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে।
নির্দেশনা অনুযায়ি, ব্যাংক ও শেয়ারবাজারে সাপ্তাহিক ছুটি ২ দিনের পরিবর্তে ৩ দিন করা হয়েছে। এছাড়া লেনদেন ও অন্যান্য কার্যক্রমের জন্যও নতুন সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, কঠোর বিধি-নিষেধের সময় ব্যাংক লেনদেন হবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত। আর ব্যাংকের আনুষঙ্গিক কার্যক্রম চলবে বিকেল ৩টা পর্যন্ত।
এদিকে, ব্যাংক লেনদেনের সঙ্গে সমন্বয় করে দেশের উভয় শেয়ারবাজারে লেনদেন হবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। এই লেনদেনে বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী ১৫ মিনিট প্রি-ওপেনিং সেশন থাকবে এবং লেনদেন শেষে ১৫ মিনিটের পোস্ট ক্লোজিং সেশন চালু থাকবে।