সোমবার, ২০শে মে ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

UCB Bank

তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস

প্রকাশঃ

তেঁতুলিয়ায় শনিবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছয় দশমিক এক ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। গত ১০ জানুয়ারিতেও তাপমাত্রা ছিল ছয় দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জেলায় মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস।

স্থানীয়রা জানান, এক সপ্তাহ ধরেই প্রচন্ড ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। সকাল থেকে কুয়াশা না থাকলেও কনকনে শীতে চরম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় শীত নেমে আসে। মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত শীত অনুভূত হয়। দিনে রোদ থাকলেও তাপ নেই। বিকেল গড়ালেই ঠান্ডা লাগতে শুরু করে।

এতে বিপাকে পড়েছেন বিভিন্ন শ্রেণির খেটে খাওয়া মানুষ। ভোর ৬টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কনকনে শীতের কারণে কাজে যেতে পারছেন না অনেকেই। তবে পেটের তাগিদে কাউকে নদীতে পাথর তুলতে, কাউকে চা-বাগানে আবার কাউকে দিনমজুরের কাজ করতে যেতে দেখা গেছে।

চা-শ্রমিক বাদল, বাবু ও হায়াত জানান, কয়েকদিন ধরে কনকনে শীতে সকালে চা-বাগানের পাতা তুলতে গিয়ে হাত-পা অবশ হয়ে আসে। তারপরও কাজ করতে হচ্ছে।

পাথর শ্রমিক আছিয়া, রমেছা খাতুনসহ অন্যান্য নারী শ্রমিকরা বলেন, আমরা আজানের পর পরই ঘুম থেকে উঠি। কদিন ধরে খুব ঠাণ্ডা। তারপরও ঘরের কাজ শেষ করে পেটের দায়ে পাথরের কাজে যেতে হচ্ছে।

এদিকে দিন-রাতে তাপমাত্রা দুই রকম থাকায় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগ। উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান, আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। শনিবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ছয় দশমিক এক ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুয়াশা না থাকলেও হিমেল বাতাসের কারণে ঠান্ডা অনুভব হচ্ছে।

উপরের পোস্টটি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কি?

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

এই মাত্র প্রকাশিত

এই বিভাগের আরও সংবাদ