সোমবার, ২০শে মে ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

UCB Bank

কঠোর লকডাউনে ফের শিল্প-কারখানা খুলে দেয়ার অনুরোধ মালিকদের

প্রকাশঃ

দেশে চলমান কঠোর লকডাউনে গার্মেন্টসসহ সব ধরনের শিল্প-কারখানা খুলে দিতে সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন মালিকরা। বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে বৈঠক করে ভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা এই দাবি জানান।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান শিল্প-কারখানা খুলে দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন বলে জানান। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলে দ্রুতই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে বলেও জানান তিনি।

যদিও এর আগে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধে শিল্পকারখানা চালু রাখার অনুরোধ জানিয়েছিলেন মালিকরা। কিন্তু সেই অনুরোধ রাখেনি সরকার।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘আমরা ক্যাবিনেট সচিবের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম, সব ব্যবসায়ীর পক্ষ থেকে। এই যে লকডাউনটা আছে, এটা থেকে যেন সমস্ত ধরনের শিল্পকে কাজ করতে সুযোগ দেয়া হয়। এটাই আমরা উনার কাছে অনুরোধ করতে আসছি।’

ফারুক হাসান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছে উনার (মন্ত্রিপরিষদ সচিব) মাধ্যমে এই অনুরোধটা আমরা করেছি। তিনি (মন্ত্রিপরিষদ সচিব) বলেছেন, উনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন। কথা বলে এই ডিসিশানটা খুব তাড়াতাড়ি দেবেন। করোনা পরিস্থিতি, সংক্রমণ, মৃত্যু সবকিছু মাথায় নিয়ে সরকারের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে। সরকার এটা বিবেচনা করবে বলে আমরা আশাকরি।’

ফারুক হাসান আরও বলেন, ‘পোশাকশিল্প শুধু না, সমস্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানের পক্ষে আমরা এসেছি। এটার প্রয়োজনীয়তা আপনারা জানেন। সমস্ত শিল্পের সঙ্গে অনেক কিছু ইনভলভড। সেই কারণে আমরা এটা আবারও অনুরোধ করেছি। যেন এটাকে লকডাউনের বাইরে রাখা হয়, যেন বিষয়টা বিবেচনা করা হয়।’

কোনো নির্ধারিত দিন থেকে খুলে দেয়ার দাবি জানানো হয়েছে কিনা- এ বিষয়ে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘কোনো নির্দিষ্ট দিন নয়, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব। যেহেতু ২৩ তারিখ থেকে লকডাউনে সবকিছু বন্ধ আছে, ঈদের আগে অলমোস্ট ১৮/১৯ তারিখ থেকে সবকিছু বন্ধ হয়ে গেছে, সবকিছু অনেকদিন বন্ধ থাকার কারণে সবকিছুরই সাপ্লাই চেইনে একটা শর্টেজ হয়।’

‘আমাদের এক্সপোর্ট যেটা আছে, তার সঙ্গে সঙ্গে লোকালও এবং পোর্টেও অনেক ইমপোর্টেড মাল আসে। জাহাজগুলো আনলোড করা, মালগুলো পোর্টে রাখার জায়গা থাকছে না। সে কারণে যদি ফ্যাক্টরিগুলো, শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো না খুলে পোর্ট থেকে কন্টেইনারে মাল রিলিজ না করলে একটা জটিলতার দিকে চলে যাচ্ছে। তাই সবকিছু বিচার বিবেচনা করে সব ধরনের শিল্পপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার অনুরোধ করেছি।’

উপরের পোস্টটি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কি?

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

এই মাত্র প্রকাশিত

এই বিভাগের আরও সংবাদ