শুক্রবার, ১৭ই মে ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

UCB Bank

সব ধরনের বেকারিপণ্যের দাম বেড়েছে ২০% থেকে ৫০% পর্যন্ত

প্রকাশঃ

দেশে হস্তচালিত সব ধরনের পণ্যের বেকারিপণ্যের দাম বেড়েছে। গত বুধবার (১ জুন) থেকে হস্তচালিত (নন ব্র্যান্ড) বেকারিপণ্যের দাম ২০ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ রুটি, বিস্কুট ও কনফেকশনারি প্রস্তুতকারক সমিতি। কিন্তু বাস্তবে দাম বেড়েছে ন্যূনতম ৫০ শতাংশ। কোনো কোনো পণ্যে এর চেয়ে বেশি। মালিকরা বলছেন, দ্রব্যমূল্য বাড়ায় দীর্ঘদিন তারা লোকসান দিচ্ছিলেন। ভাংতি টাকা দেওয়া-নেওয়াকেও দাম বেশি বাড়ানোর কারণ বলছে সমিতি। ব্যবসায়ীদের নীতি-নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ।

সরেজমিনে রাজধানীর বেশ কিছু এলাকা ঘুরে দেখা যায়, দোকানে এখন ১০ টাকা দামের বিভিন্ন ধরনের পাউরুটি কেকসহ এজাতীয় পণ্য বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়। ৫ টাকা দামের বনরুটির দাম করা করা হয়েছে ৮ টাকা। সব ধরনের খোলা বিস্কুটের ন্যূনতম দামও রাখা হচ্ছে ৫ টাকা, যা আগে ২ বা ৩ টাকায় পাওয়া যেত।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ রুটি, বিস্কুট ও কনফেকশনারি প্রস্তুতকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক রেজা বলেন, ‘সমিতি ২০ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত দিয়েছে। তবে অধিকাংশ বেকারি মালিক সে দাম মানেননি। একটা সমিতি তো সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। এলাকাভেদে এ পরিস্থিতি হয়েছে।’

দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে খুচরা টাকা ব্যবহারে অনীহা ও বড় বড় কোম্পানিকে দায়ী করে তিনি বলেন, ‘২০ শতাংশ বাড়লে একটা রুটির দাম ১২ টাকাও করা যাবে না, আবার ১৫ টাকা না করলেও নয়। তাহলে দোকানিকে তিন টাকা ভাঙতি ফেরত দিতে হবে সেটা ঝামেলা। দোকানিরা ভাঙতি টাকা রাখতে চায় না। আবার বড় বড় কোম্পানি তাদের বেকারি রুটির দাম ১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫ টাকা করায় ছোট ছোট বেকারি উৎসাহিত হয়েছে।’

তবে রেজাউল হকের দাবি, কিছু কিছু এলাকার বেকারি পুরোপুরি সিদ্ধান্ত মেনে পণ্যের দাম ২০ শতাংশই বাড়িয়েছে। আর যারা বেশি বাড়িয়েছে তারা ওজন ও মান ভালো করেছে।

এর আগে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দাম সমন্বয়ের জন্য মঙ্গলবার (৩১ মে) থেকে হুট করেই হস্তচালিত বেকারি মালিকরা অঘোষিত ধর্মঘটে যান। পরের দিনই ২০ শতাংশ দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত দেয় মালিক সমিতি।

হস্তচালিত বেকারিগুলো মূলত দেশের গ্রামগঞ্জ, উপজেলা, জেলা ও সিটি করপোরেশন এলাকায় সড়কের পাশের ছোট ছোট দোকানে পাউরুটি, বনরুটি, কেক, বিস্কুটসহ বিভিন্ন ধরনের কনফেকশনারি পণ্য বিক্রি করে। এসব পণ্যের ভোক্তা মূলত নিম্ন আয়ের মানুষ। ফলে মূল্যবৃদ্ধির এ বাড়তি চাপ প্রভাব ফেলেছে তাদের খরচে।

গত মঙ্গলবার রাজধানীর অধিকাংশ এলাকায় বেকারিপণ্যের সরবরাহ বন্ধ ছিল। পরদিন দাম বাড়ানোর পর সরবরাহ স্বাভাবিক হয়। তবে বাড়তি দামের কারণে অনেক দোকানি এখন বেকারিপণ্য বিক্রি করতে পারছেন না।

বেকারি মালিকরা বলছেন, বেকারিতে যেসব কাঁচামাল লাগে তার প্রায় সবকিছুর দাম বেড়েছে। তেল, ডালডা, আটা-ময়দা ছাড়াও চিনি, দুধ ও ডিমের দামও বাড়তি। এরই মধ্যে লোকসান পোষাতে না পেরে অনেক বেকারি বন্ধ হয়ে গেছে। বড় বড় কোম্পানি যারা অটো ও সেমি-অটো মেশিনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পণ্য বানায় তারাও পণ্যের দাম বাড়িয়েছে।

উপরের পোস্টটি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কি?

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

এই মাত্র প্রকাশিত

এই বিভাগের আরও সংবাদ