বৃহস্পতিবার, ৯ই মে ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

UCB Bank

সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়, শৈত্যপ্রবাহ আরো ২ দিন

প্রকাশঃ

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দিনের তাপমাত্রা সামান্য আর রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।

তিন দিন আগের রেকর্ড ভেঙে এই শীতে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রার পারদ নেমেছে ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

এদিন রাজধানীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এর আগে গত মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গা ও সিরাজগঞ্জে তাপমাত্রা ছিল ৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, ” চুয়াডাঙ্গা জেলা এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগসহ বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আরও দুদিন শৈত্যপ্রবাহের এমন অবস্থা বিরাজ করবে। আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি কোথাও কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে।”

সূর্যের দেখা মেলায় তাপমাত্রা বাড়ার প্রবণতা থাকবে জানিয়ে তিনি বলেছেন, তাতে কিছু কিছু জায়গায় শৈত্যপ্রবাহ প্রশমিত হবে এবং কিছু কিছু জায়গায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করবে ।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দিনের তাপমাত্রা সামান্য আর রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।

২০১৮ সালের ৮ জানুয়ারি ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেদিন পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নামে দেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ন ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

এর আগে ২০১১ সালের ১২ জানুয়ারি যশোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছিল ৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি দিনাজপুরে ৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসার রেকর্ড রয়েছে। স্বাধীনতার আগে ১৯৬৮ সালে শ্রীমঙ্গলে ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার একটি রেকর্ড রয়েছে।

দেশের বড় এলাকাজুড়ে তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে সেটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করলে মাঝারি এবং ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে সেটিকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়।

এবারে শীত বেড়েছে জানুয়ারিতে এসে। গত ১১ জানুয়ারি দেশের উত্তরের কিছু কিছু জেলায় শুরু হয় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, সঙ্গে ঘন কুয়াশা আর উত্তরের হিম হাওয়ার দাপট।

জানুয়ারির ২০ তারিখের পর শৈত্যপ্রবাহের বিস্তার বাড়তে থাকে। তীব্র ঠাণ্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে প্রায় পুরো দেশ।

কুয়াশার কারণে সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যান চলাচল বিঘ্নিত হওয়ার খবরও মিলছে প্রায় প্রতিদিনই। হাসপাতালগুলোয় ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্তদের ভিড়ও বাড়ছে। ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছে বিপাকে।

পারদ ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে যাওয়ায় বিভিন্ন জেলায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হচ্ছে। আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাসের সময় পিছিয়ে নেওয়া হয়েছে সকাল ১০টায়।

শেয়ার করুনঃ

উপরের পোস্টটি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কি?

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

এই মাত্র প্রকাশিত

এই বিভাগের আরও সংবাদ