রবিবার, ১৯শে মে ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

UCB Bank

ইতালি সরকার ৮০ হাজার শ্রমিক নেবে, ২০২২ সালের নতুন স্পন্সর

প্রকাশঃ

ইতালি সরকার ২০২২ সালের জন্য নতুন স্পন্সর চালু করছে। বিশাল এ স্পন্সর এখনো মন্ত্রিপরিষদের চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে নতুন করে আরও ৮০ হাজার শ্রমিক নেওয়ার কথা জানিয়েছে ইতালি সরকার। এরইমধ্যে দেশটির গণমাধ্যমে এ সংবাদ প্রকাশ হয়েছে।

জানা গেছে, চলতি ডিসেম্বর মাসে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিনের আগে ২০২২ সালের স্পন্সরটি মন্ত্রিপরিষদে অনুমোদন পেতে পারে। অনুমোদন পাওয়ার পরই শ্রমিক নেওয়ার বিষয়ে নিয়ম-নীতিগুলো পরিষ্কার বোঝা যাবে এবং বাংলাদেশিদের কোটা থাকবে কি না সেটিও জানা যাবে। এর আগেও ইতালিতে এ ধরনের স্পন্সর চালু ছিল। তবে বেশ কয়েক বছর পর আবারও সরকার এটি চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

মূলত পর্যটন, কৃষি, ভারী পরিবহন এবং উৎপাদন খাতে ইতালিতে এই ৮০ হাজার শ্রমিক নেওয়া হবে। স্থায়ী ও অস্থায়ীভাবে এসব শ্রমিকেরা বৈধভাবে দেশটিতে প্রবেশের সুযোগ পাবে। এক্ষেত্রে কয়েকটি দেশের নাম চূড়ান্ত হলেও শ্রমিক নেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশের নাম এখনো প্রকাশ করা হয়নি। ফলে বাংলাদেশিদের গেজেট প্রকাশ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। সম্প্রতি ইতালির স্বরাষ্ট্র ও পরিবহনমন্ত্রী বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিষয়টি তুলে ধরেন।

এ বিষয়ে কথা হলে ইমিগ্রেশন পরামর্শক অ্যাড.আনিচুজ্জামান আনিস বলেন, এ স্পন্সরটি নিঃসন্দেহে বাংলাদেশিদের জন্য সুখবর। কারণ, দীর্ঘ প্রায় চার বছর পর এ প্রক্রিয়া চালু হচ্ছে। এতে বাংলাদেশিরা সহজে বৈধভাবে ইতালি প্রবেশের সুযোগ পাবে। এর আগে ৩০ হাজার ৮৫০ জন শ্রমিক নেওয়ার গেজেট প্রকাশ করে ইতালি সরকার।

এ ব্যাপারে রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর (শ্রম কল্যাণ) মো. এরফানুল হক বলেন, ইতালির বিভিন্ন গণমাধ্যমে স্পন্সরে ৮০ হাজার শ্রমিক নেওয়ার ব্যাপারে দেশটির সরকারের প্রক্রিয়া চলমান। সেখানে বাংলাদেশিদের কোটা থাকবে। তবে গেজেট প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত কোন নিয়মে বাংলাদেশি শ্রমিকরা আসতে পারবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, শ্রমিক নেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশিদের কোটা থাকবে, গত জুলাই মাসে এক বৈঠকে আমাদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা হয়েছে।

২০১৭ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের এসওপিও চুক্তি হয়। “স্ট্যান্ডার অপারেটিং প্রসেডিওর ফর রিটার্ন অব ইরেগুলার বাংলাদেশি ন্যাশনাল লিভিং ইন ইউরোপ” নামের এ চুক্তির আওতায় যেসব বাংলাদেশি অনিয়মিতভাবে ইতালিতে বসবাস করছেন তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে ইতালি সরকার যে অনুরোধলিপি দেবে রোমে বাংলাদেশ দূতাবাস সেটি কীভাবে দেখে, তার ওপরই নির্ভর করছে আসছে স্পন্সরে বাংলাদেশিদের কোটা পাওয়া-না পাওয়ার বিষয়টি।

উপরের পোস্টটি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কি?

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

এই মাত্র প্রকাশিত

এই বিভাগের আরও সংবাদ