রবিবার, ৫ই মে ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২২শে বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

UCB Bank

রিজার্ভ কমে ৩৭ বিলিয়ন ডলারের নিচে

প্রকাশঃ

রিজার্ভ কমে ৩৭ বিলিয়নের নিচে নেমে এসেছে। ডলারের সংকট কাটাতে ও রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপ, কৃচ্ছ্রসাধন এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধিতে নানা উদ্যোগ। এর পরেও রিজার্ভের ওপর চাপ প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। এতে গত কয়েক মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে কমছে রিজার্ভ।

বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) দিন শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ৩৬ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলারে। গত কয়েক বছরের মধ্যে এটিই সর্বনিম্ন রিজার্ভ। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, গত সেমাবার রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩৭ দশমিক শূন্য ৮ বিলিয়ন ডলার। তবে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দেশগুলোর জুলাই-আগস্ট সময়ের জন্য এক দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করায় রিজার্ভ ৩৭ দশমিক ১৩ বিলিয়নে নেমে আসে। তার আগে ৩৯ বিলিয়ন ডলারের ঘরে ছিল বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।

তবে গত বছরের ২৫ আগস্ট রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৪৮ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলার। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে রিজার্ভ কমেছে প্রায় ১১ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলার।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, কোনো দেশের ৩ মাসের আমদানি বিল পরিশোধের জন্য বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থাকলে তা আদর্শ হিসেবে ধরা হয়। তবে আমাদের বর্তমান যে রিজার্ভ আছে তা দিয়ে ৫ মাসের বেশি আমদানি বিল পরিশোধ করা সম্ভব হবে। এতে বলতেই পারি রিজার্ভ নিয়ে হতাশ হওয়ার কিছু নেই।

তিনি বলেন, সরকার আমদানিতে কড়াকড়ি ও কৃচ্ছ্রসাধন নীতি ঘোষণা করছে। এতে আমদানি কমতে শুরু করেছে। তাছাড়া রপ্তানি আয়ও বাড়ছে। সরকারের নানা উদ্যোগের ফলে রেমিট্যান্স সংগ্রহ বেড়েছে, জনসংখ্যা রপ্তানিও বেড়েছে। সামনে রেমিট্যান্স সংগ্রহ আরও বাড়বে।

এদিকে, সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে গত জুলাই মাসের তুলনায় আগস্টে আমদানির ক্ষেত্রে এলসি (ঋণপত্র) নিষ্পত্তি কমেছে ২৫ শতাংশ। আগস্টে এলসি বাবাদ পরিশোধ হয়েছে ৫ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার, যা আগের মাস জুলাইয়ে ছিল ৭ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার। আর চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে ৬ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন, ফেব্রুয়ারিতে ৬ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন, মার্চে ৭ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন, এপ্রিলে ৬ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন, মে মাসে ৭ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ও জুনে ৭ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান বিভাগের তথ্য মতে, চলতি মাস সেপ্টেম্বরের প্রথম ১৫ দিনে মোট ১০০ কোটি ৮৬ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পাঁচ বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১৪ কোটি ৫ লাখ মার্কিন ডলার। এছাড়া বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ৮৪ কোটি ৮৩ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। অন্যদিকে বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৩৪ লাখ মার্কিন ডলার। এছাড়া একটি বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে এক কোটি ৬৪ লাখ মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স।

একক ব্যাংক হিসেবে এসময়ে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে বেসরকারি ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। বেসরকারি খাতের এ ব্যাংকটির মাধ্যমে ২২ কোটি ডলার, সিটি ব্যাংকে ৯ কোটি ৯৭ লাখ ডলার, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে ৭ কোটি ৩০ লাখ, অগ্রণী ব্যাংকে ৬ কোটি ২৩ লাখ, ডাচ্–বাংলা ব্যাংকে ৫ কোটি ২১ লাখ এবং পূবালী ব্যাংকের মাধ্যমে ৫ কোটি ৫৮ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

উপরের পোস্টটি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কি?

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

এই মাত্র প্রকাশিত

এই বিভাগের আরও সংবাদ